আসলে আমাদের দেশে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর কপিরাইট, কেনা বেচা নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা, শ্রদ্ধাবোধ নেই। একটা সাধারণ বাংলা শেখার App লন্ডন এ ৫০০ টাকা করে বিক্রি হয়।USA এ তে কেনা ছাড়া নতুন গান শুনবে, কেউ কল্পনা করে না।
লাকি আকন্দের মতো শিল্পী/গীতিকার/সুরকার দিন শেষে টাকার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে আর আমরা ফ্রি তে সব নিয়ে দিন শেষে গালি দেব "শালার বাঙালি কিছু ভালো করতে পারে না, কোনো পুরস্কার/গ্র্যামি পায় না" - এইভাবে তো চলতে পারে না।
Tusin Ahmed অনেকদিন ধরে লিখতেছে তার লেখা গুলো চুরি হয়ে যাবার কথা। কপি -পেস্ট টা খুব সহজ হয়ে যাবার ফলে এটা যে একটা অনেক বড় অন্যায়, সেটা কেউ বুঝতে চায় না। এমনকি লেখার সোর্স ও উল্লেখ করে না। শ্রদ্ধাবোধ এবং আরেকজনের কাজের স্বীকৃতি দেয়ার জায়গাটাতে কাজ না করলে আমরা এই সমস্যা থেকে কোনো দিন মুক্তি পাবো না। সারাজীবন চুরি করে যাবো এবং পরবর্তী প্রজন্ম ও জানবে যে এটাই নিয়ম।
শিল্পী সাজু আজকে অনেক গুলো গানের স্কুল চালায়, কারণ বছরে সে একটা অ্যালবাম বের করতে পারে, যেটা থেকে সামান্য টাকাও আসে না, অথচ তার প্রধান কাজ/পেশা হলো গান গাওয়া।
একটা মগ বানিয়ে বিক্রি করে যদি উদ্যোক্তা ৫০ টাকা পেতে পারে, একটা গান বানিয়ে সেটা বিক্রি করে শিল্পী ৫০ টাকা পাবার অধিকার সংরক্ষণ করে, একটা বই লিখে সেটা সেল করে ৫০ টাকা পাওয়া লেখকের অধিকার।
দেখা যাক AppBajar কি করতে পারে উনাদের সবার জন্য, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কার দের জন্য।